ত্বকে অসংখ্য ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়া পরস্পর ঝামেলা না করে বসবাস করে। এরা ব্যালেন্স রেখে চলে, বর্জ্য পরিষ্কার করে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। সাধারণ সাবান থেকে শুরু করে প্রায় প্রত্যেক প্রসাধনীতেই জীবানুনাশক উপাদান থাকে যা ত্বকের মাইক্রোবায়োম ব্যালান্স নস্ট করে। তখন ত্বকে নানা ঝামেলা হয়; স্কিনে অয়েল, স্মেল, ইনফেকশন ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
(মাইক্রোবায়োম কি বুঝতে কমেন্টে আমার লেখাটি পড়ুন)
এখন মানুষ জানে কম, বুঝে বেশি। জীবাণু দূর করার বিজ্ঞাপন দেখেই ব্রেইনওয়াশড, প্রকৃত বিজ্ঞান নিয়ে একটু গভীর চিন্তার ফুরসত কই? আর কৃত্রিম প্রসাধনীতে ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স নস্টকারী, এন্ডোক্রাইন ডিজরাপ্টর বা হরমোন ব্যাহতকারী কেমিক্যালস তো আছেই। সবমিলিয়ে কসমেটিকগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যে একবার ব্যবহার করলে বারবার ব্যবহার করতে বাধ্য হবে কেউ।
যেমন, যেকোনো একটা কেমিক্যাল ফেসওয়াশ এর কথা ধরা যাক। এটা ১ বার ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচ ও মাইক্রোবায়োম ভারসাম্যহীন হয়ে যাবে। তখন আর প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ঠিক থাকবে না, ঐ ফেসওয়াশটাই বারবার ব্যবহার করতে হবে।
তারপর কেমিক্যাল টুথপেষ্ট আছে। এই পেস্ট এ কীটনাশক থাকে। যা মুখের জীবাণু দূর করার নাম করে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে! অথচ মুখের মাইক্রোবায়োমে ভালো ও মন্দ জীবানু প্রাকৃতিকভাবেই ব্যালান্স রেখে চলছিল। সবাই ছোটবেলা থেকেই এসব কেমিক্যাল পেস্ট ব্যবহার করে আসছে। ১ বার এদিয়ে দাঁত মাজলেই তা মুখের পিএইচ ব্যালান্স নস্ট করে ও মাইক্রোবায়োম আপসেট করে ফেলে। তখন এটা বারবার ব্যবহার ছাড়া কাজ হয়না। কেমিক্যাল ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে দাঁত মাজলে পরিষ্কার হয়না, স্মেল যায়না। অথচ এটা যদি ১ম থেকেই ব্যবহার না হতো তাহলে প্রাকৃতিকভাবেই সব ঠিক থাকত। যেমন আমাদের পূর্বপুরুষগণ প্রাকৃতিকভাবে হাইজিন ও সৌন্দর্য বজায় রাখতেন।
মূলত এই প্রডাক্টগুলো হলো কঞ্জিউমার ক্যাপিটালিজম এর জন্য ডিজাইনকৃত। আজীবনের ট্র্যাপে ফেলার জন্য।
ত্বক হচ্ছে মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। অঙ্গটি porous (অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত)। এসব ছিদ্র দিয়ে যেমন ঘাম বের হতে পারে তেমনি বহু ধরণের রাসায়নিক পদার্থ আছে যা বাইরে থেকে রক্ত প্রবাহে মিশে যেতে পারে। প্রসাধনী, সাবান, কৃত্রিম লোশন, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল তেল, দৈনন্দিন জীবনে ব্যাবহৃত হাজারো রকম রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের ছিদ্র দিয়ে রক্তপ্রবাহে মিশে আমাদের এন্ডোক্রিন সিস্টেমকে (হরমোনাল সিস্টেমকে) ব্যাহত করে। আমাদের দেহের ভিতর যত ধরণের আভ্যন্তরীন যোগাযোগ আছে সেক্ষেত্রে হরমোনের ভুমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হরমোনের যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটলে আমরা নানা রকম অসুস্থতায় ভুগি।
এজন্য আমাদের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে। আর তার চেয়ে বড় ব্যাপার শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে। প্রাকৃতিক ফ্রেশ খাবার খাওয়া, রোদে যাওয়া, পানি পান, রাত না জাগা। যদি এসব না মানা হয় তখন তা ত্বকেও প্রভাব ফেলে, সৌন্দর্যহানি ঘটায়। কিন্তু আমরা ভাবি বাইরে থেকে ক্রিম ঘষলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আসলে সমস্যার মূল কি তা সমাধান করতে হবে। সুস্থ প্রাকৃতিক জীবন যাপন করলে বাহ্যিক সৌন্দর্যও ঠিক থাকে, শরীর মন সজীব প্রাণবন্ত থাকে।
এরপরও বাইরে থেকে প্রসাধনী হিসেবে প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার এর প্রসঙ্গ আসলে বলতে হয় এখানে কোনো নির্দিষ্ট উপাদান ব্যবহার এর বাধ্যবাধকতা নেই। যা কিছু খাওয়া যায় তা ত্বকেও লাগানো যায়। (কেমিক্যাল প্রসাধনী খাওয়া যায় না তাই বাইরেও লাগানো যাবে না!)
মধু, দুধ, যেকোনো তেল, ঘি, ফল, সবজি, ডাল, ভেষজ, হলুদ, নিম, এলোভেরা ইত্যাদি যতকিছু প্রাকৃতিক উপকরণ আছে সবই প্রাপ্যতা অনুসারে যখন যা পাওয়া যায় ব্যবহার করতে পারেন।
মূলকথা হলো, আগে সুস্থ থাকতে হবে। পুষ্টির অভাবে অনেক সমস্যাই সৃষ্টি হয়। তাই প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে আগে। আবার অস্বাস্থ্যকর বিশৃঙ্খল জীবন যাপন করলেও নানা সমস্যা হয়। তাই লাইফস্টাইল ঠিক করতে হবে।
সবরকম কৃত্রিম সামগ্রী বর্জন করতে হবে। এগুলোতে কোনো উপকার নেই। প্রথমে যা ব্যাখ্যা করলাম ঠিক ঐ কারণেই মুলত মানুষ এসব পন্য ব্যবহারে বাধ্য হয়ে থাকে। আর ভাবে যে, প্রাকৃতিক উপকরণ কাজ করেনা।
স্কিনকে কেয়ার করার কিছু নাই। এন্টিবায়োটিক, কৃত্রিম সামগ্রী ইত্যাদি থেকে দূরে থাকলে এবং সুস্থ প্রাকৃতিক জীবন যাপন করলে দেহের মাইক্রোবায়োম, এন্ডোক্রাইন সিস্টেম ও এক্সক্রেটরি অর্গানস সঠিকভাবে কাজ করে। তখন প্রাকৃতিকভাবেই স্কিন কেয়ার হয়।
এরপর যদি কিছু লাগেও তো তখন প্রাকৃতিক উপকরণসমূহেই চমৎকার ফলাফল আসে।
ব্রিটিশ মিউজিয়ামের মিশরীয় কালেকশন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চ এবং প্রাচীন পাপিরাস রেকর্ড, যেমন Ebers Papyrus থেকে সহজেই আন্দাজ করা যায়, মিশরীয় নারীরা রূপচর্চায় পাইওনিয়ার ছিল!
আর আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে মিশরীয় নারীদের রূপচর্চার পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপকরণ ভিত্তিক! তারা রূপচর্চার জন্য সব ধরনের প্রসাধনী প্রস্তুত করতো প্রাকৃতিক উৎস থেকে।
বার্ধক্য অনিবার্য ছিল, আছে এবং থাকবে। কিন্তু বয়স বাড়লেও প্রাকৃতিক নিয়মে বেশ অনেকদিন পর্যন্ত সৌন্দর্য ও তারুণ্য ধরে রাখা যায়। ঠিক এটাই প্রাচীন মিশরে চর্চা হতো। মিশরীয় নারীদের বয়স বাড়ত কিন্তু সৌন্দর্যে খুব একটা ভাটা পড়তো না!
মিশরীয় নারীরা খেজুর থেকে তৈরি বিশেষ ধরনের তেল ব্যবহার করতো। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, নারিকেল এবং প্রকৃতির নানা উৎস থেকে তেল তৈরি করতো। মিশরীয় নারীরা গোসলের পর বাদামের তেল ব্যবহার করত। জোজোবা অয়েল, ক্যাস্টর অয়েলও ব্যবহৃত হতো।
তারা মুখের ত্বককে লাবণ্যময় ও সজীব রাখতে ব্যবহার করত মেথি, অ্যাভোকাডো ও উটের দুধে তৈরি অ্যাভোকাডো মাস্ক। অ্যাভোকাডো ভর্তার মতো মিশ্রণ তৈরি করে পুরো মুখে ভারী প্রলেপ লাগাত।
তারা চুলে মেহেদি ব্যবহার করতো ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে। আর, ন্যাট্রন (প্রাকৃতিক সোডা লবণ) ও মাটি দিয়ে শরীর পরিষ্কার করা হতো।
Muhammad Rahat Khan
Source
(মাইক্রোবায়োম কি বুঝতে কমেন্টে আমার লেখাটি পড়ুন)
এখন মানুষ জানে কম, বুঝে বেশি। জীবাণু দূর করার বিজ্ঞাপন দেখেই ব্রেইনওয়াশড, প্রকৃত বিজ্ঞান নিয়ে একটু গভীর চিন্তার ফুরসত কই? আর কৃত্রিম প্রসাধনীতে ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স নস্টকারী, এন্ডোক্রাইন ডিজরাপ্টর বা হরমোন ব্যাহতকারী কেমিক্যালস তো আছেই। সবমিলিয়ে কসমেটিকগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা যে একবার ব্যবহার করলে বারবার ব্যবহার করতে বাধ্য হবে কেউ।
যেমন, যেকোনো একটা কেমিক্যাল ফেসওয়াশ এর কথা ধরা যাক। এটা ১ বার ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচ ও মাইক্রোবায়োম ভারসাম্যহীন হয়ে যাবে। তখন আর প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ঠিক থাকবে না, ঐ ফেসওয়াশটাই বারবার ব্যবহার করতে হবে।
তারপর কেমিক্যাল টুথপেষ্ট আছে। এই পেস্ট এ কীটনাশক থাকে। যা মুখের জীবাণু দূর করার নাম করে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে! অথচ মুখের মাইক্রোবায়োমে ভালো ও মন্দ জীবানু প্রাকৃতিকভাবেই ব্যালান্স রেখে চলছিল। সবাই ছোটবেলা থেকেই এসব কেমিক্যাল পেস্ট ব্যবহার করে আসছে। ১ বার এদিয়ে দাঁত মাজলেই তা মুখের পিএইচ ব্যালান্স নস্ট করে ও মাইক্রোবায়োম আপসেট করে ফেলে। তখন এটা বারবার ব্যবহার ছাড়া কাজ হয়না। কেমিক্যাল ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে দাঁত মাজলে পরিষ্কার হয়না, স্মেল যায়না। অথচ এটা যদি ১ম থেকেই ব্যবহার না হতো তাহলে প্রাকৃতিকভাবেই সব ঠিক থাকত। যেমন আমাদের পূর্বপুরুষগণ প্রাকৃতিকভাবে হাইজিন ও সৌন্দর্য বজায় রাখতেন।
মূলত এই প্রডাক্টগুলো হলো কঞ্জিউমার ক্যাপিটালিজম এর জন্য ডিজাইনকৃত। আজীবনের ট্র্যাপে ফেলার জন্য।
ত্বক হচ্ছে মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। অঙ্গটি porous (অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত)। এসব ছিদ্র দিয়ে যেমন ঘাম বের হতে পারে তেমনি বহু ধরণের রাসায়নিক পদার্থ আছে যা বাইরে থেকে রক্ত প্রবাহে মিশে যেতে পারে। প্রসাধনী, সাবান, কৃত্রিম লোশন, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল তেল, দৈনন্দিন জীবনে ব্যাবহৃত হাজারো রকম রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের ছিদ্র দিয়ে রক্তপ্রবাহে মিশে আমাদের এন্ডোক্রিন সিস্টেমকে (হরমোনাল সিস্টেমকে) ব্যাহত করে। আমাদের দেহের ভিতর যত ধরণের আভ্যন্তরীন যোগাযোগ আছে সেক্ষেত্রে হরমোনের ভুমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হরমোনের যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটলে আমরা নানা রকম অসুস্থতায় ভুগি।
এজন্য আমাদের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে। আর তার চেয়ে বড় ব্যাপার শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে। প্রাকৃতিক ফ্রেশ খাবার খাওয়া, রোদে যাওয়া, পানি পান, রাত না জাগা। যদি এসব না মানা হয় তখন তা ত্বকেও প্রভাব ফেলে, সৌন্দর্যহানি ঘটায়। কিন্তু আমরা ভাবি বাইরে থেকে ক্রিম ঘষলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আসলে সমস্যার মূল কি তা সমাধান করতে হবে। সুস্থ প্রাকৃতিক জীবন যাপন করলে বাহ্যিক সৌন্দর্যও ঠিক থাকে, শরীর মন সজীব প্রাণবন্ত থাকে।
এরপরও বাইরে থেকে প্রসাধনী হিসেবে প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার এর প্রসঙ্গ আসলে বলতে হয় এখানে কোনো নির্দিষ্ট উপাদান ব্যবহার এর বাধ্যবাধকতা নেই। যা কিছু খাওয়া যায় তা ত্বকেও লাগানো যায়। (কেমিক্যাল প্রসাধনী খাওয়া যায় না তাই বাইরেও লাগানো যাবে না!)
মধু, দুধ, যেকোনো তেল, ঘি, ফল, সবজি, ডাল, ভেষজ, হলুদ, নিম, এলোভেরা ইত্যাদি যতকিছু প্রাকৃতিক উপকরণ আছে সবই প্রাপ্যতা অনুসারে যখন যা পাওয়া যায় ব্যবহার করতে পারেন।
মূলকথা হলো, আগে সুস্থ থাকতে হবে। পুষ্টির অভাবে অনেক সমস্যাই সৃষ্টি হয়। তাই প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে আগে। আবার অস্বাস্থ্যকর বিশৃঙ্খল জীবন যাপন করলেও নানা সমস্যা হয়। তাই লাইফস্টাইল ঠিক করতে হবে।
সবরকম কৃত্রিম সামগ্রী বর্জন করতে হবে। এগুলোতে কোনো উপকার নেই। প্রথমে যা ব্যাখ্যা করলাম ঠিক ঐ কারণেই মুলত মানুষ এসব পন্য ব্যবহারে বাধ্য হয়ে থাকে। আর ভাবে যে, প্রাকৃতিক উপকরণ কাজ করেনা।
স্কিনকে কেয়ার করার কিছু নাই। এন্টিবায়োটিক, কৃত্রিম সামগ্রী ইত্যাদি থেকে দূরে থাকলে এবং সুস্থ প্রাকৃতিক জীবন যাপন করলে দেহের মাইক্রোবায়োম, এন্ডোক্রাইন সিস্টেম ও এক্সক্রেটরি অর্গানস সঠিকভাবে কাজ করে। তখন প্রাকৃতিকভাবেই স্কিন কেয়ার হয়।
এরপর যদি কিছু লাগেও তো তখন প্রাকৃতিক উপকরণসমূহেই চমৎকার ফলাফল আসে।
ব্রিটিশ মিউজিয়ামের মিশরীয় কালেকশন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চ এবং প্রাচীন পাপিরাস রেকর্ড, যেমন Ebers Papyrus থেকে সহজেই আন্দাজ করা যায়, মিশরীয় নারীরা রূপচর্চায় পাইওনিয়ার ছিল!
আর আজ থেকে ৫ হাজার বছর আগে মিশরীয় নারীদের রূপচর্চার পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপকরণ ভিত্তিক! তারা রূপচর্চার জন্য সব ধরনের প্রসাধনী প্রস্তুত করতো প্রাকৃতিক উৎস থেকে।
বার্ধক্য অনিবার্য ছিল, আছে এবং থাকবে। কিন্তু বয়স বাড়লেও প্রাকৃতিক নিয়মে বেশ অনেকদিন পর্যন্ত সৌন্দর্য ও তারুণ্য ধরে রাখা যায়। ঠিক এটাই প্রাচীন মিশরে চর্চা হতো। মিশরীয় নারীদের বয়স বাড়ত কিন্তু সৌন্দর্যে খুব একটা ভাটা পড়তো না!
মিশরীয় নারীরা খেজুর থেকে তৈরি বিশেষ ধরনের তেল ব্যবহার করতো। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, নারিকেল এবং প্রকৃতির নানা উৎস থেকে তেল তৈরি করতো। মিশরীয় নারীরা গোসলের পর বাদামের তেল ব্যবহার করত। জোজোবা অয়েল, ক্যাস্টর অয়েলও ব্যবহৃত হতো।
তারা মুখের ত্বককে লাবণ্যময় ও সজীব রাখতে ব্যবহার করত মেথি, অ্যাভোকাডো ও উটের দুধে তৈরি অ্যাভোকাডো মাস্ক। অ্যাভোকাডো ভর্তার মতো মিশ্রণ তৈরি করে পুরো মুখে ভারী প্রলেপ লাগাত।
তারা চুলে মেহেদি ব্যবহার করতো ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে। আর, ন্যাট্রন (প্রাকৃতিক সোডা লবণ) ও মাটি দিয়ে শরীর পরিষ্কার করা হতো।
Muhammad Rahat Khan
Source