এক সময় এই দেশে মুসলমানের ছেলেদের রাস্তা ছেড়ে দিতে হত।
শুধু মুসলমান হওয়ার "অপরাধে"।
বানিয়ে বানিয়ে বলছি না। কাছাকাছি ঘটনা পাবেন আবুল মনসুর আহমেদ এর "আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর" বইতে।
সেখানে আবুল মনসুর আহমদ এর বেয়াদবির জন্য উনার বাবাকে হিন্দু জমিদারের কাছে হাত জোড় করে মাফ চাইতে হয়েছিল।
৪৭ আপনাকে শুধু স্বাধীনতা দেয় নাই, ৪৭ আপনাকে দিয়েছে মানুষের মর্যাদা।
৪৭ আগ পর্যন্ত আপনি ছিলেন প্রজা।
আপনাকে জমিদারের কাছে যেয়ে তার দয়া ভিক্ষা করতে হত।
দশ হাত দূরে দাঁড়ানো লাগত।
এ দেশে মুসলমানরা লেখাপড়া করতে পারে নাই কেন জানেন?
বেশিরভাগ স্কুলে মুসলমানের বাচ্চাদের বসতে দেওয়া হত না।
অনেক স্কুলে ভর্তিই নিত না।
নাটোরের একটা এলাকায় গেলে দেখবেন মুসলমানের ছেলের নাম গোপাল।
কেন?
কারন ওখানে মুসলমানদের বাচ্চার নাম রাখার অধিকার পর্যন্ত ছিল না। মুসলমানের ছেলে হলে সেই ছেলে কোলে নিয়ে দূরে দাঁড়াতে হত।
হিন্দু জমিদার নিজের ইচ্ছামতো নাম দিয়ে দিতেন।
পাকিস্তান হওয়ার পর এই এলাকাতে কাজী নাজির নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট যান।
তিনিই প্রথম একজনের নাম রাখেন আব্দুর রহমান।
তিনিই প্রথম মুসলমানের ছেলেদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দেন।
তার আগ পর্যন্ত মুসলমানের ছেলে হলে স্কুলে জায়গা হত না। অশুচি হয়ে যায় তাই।
৪৭ আপনাকে আপনার নাম দিয়েছে।
৪৭ আপনাকে আপনার লেখাপড়ার সুযোগ দিয়েছে।
৪৭ এর ১৪ আগস্টের আগে আপনি ছিলেন একজন অশুচি প্রজা, ৪৭ এর ১৪ আগস্ট থেকে আপনি প্রজা থেকে নাগরিক হয়েছেন।
এই ইতিহাসগুলো কেউ আপনাকে বলবে না।
বাট আপনার জানতে হবে।
আপনার জানতে হবে, একটা পাকিস্তানের জন্য কেন আমাদের বাপ দাদারা ২০০ বছরের সংগ্রাম করলো?
আপনার দেখতে হবে আসাম, দেখতে হবে কাশ্মীর, দেখতে হবে গুজরাট।
তারপর আপনি বুঝবেন, স্বাধীনতা কত বড়।
আপনার দেখতে হবে আসামের সেই দলিতকে। গরুর মাংস বহনের অভিযোগে যাকে কিছুদিন আগে হত্যা করা হয়েছে।
জিন্নাহ আর শেরে বাংলারা শুধু আপনার নাম দেয় নাই, দিয়েছে আপনার খাওয়ার অধিকারও।
সেই তিতুমীর ,মজনু শাহ, হাজী শরীয়তুল্লাহ, দুদু মিয়া। তিতুমীর রক্ত দিলেন। সেই রক্তে লাল হয়ে গেল বুড়ি গঙ্গার পানি।
দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়া হলো।
কোনভাবেই পাকিস্তান হইতে দেওয়া যাবে না।
অত্যাচার জুলুম করে জমিদারি চালানোর এই মজা কে ছাড়তে চায়?
মুসলমানের ছেলের নাম গোপাল রাখার মজা কে ছাড়তে চায়?
তাই বারবার বুড়ি গঙ্গা আর পদ্মার পানি লাল হয়েছে আমার বাপ দাদাদের রক্তে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান আসলো।
আল্লামা ইকবাল পাকিস্তান নাম উচ্চারণ করে মারা গেলেন। বাট সেই মশাল নিয়ে সামনে চলে আসলেন নবাব সলিমুল্লাহ খান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, আর কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহরা।
জমিদারদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে আমরা পেলাম নতুন পতাকা, নতুন মানচিত্র।
প্রজা থেজে আমরা হয়ে উঠলাম নাগরিক।
আমরা কথা বলতে শিখলাম, অধিকার চাইতে শিখলাম।
শুরুটা ৪৭ এই।
এরপর এলো ৫২।
এলো ৭১।
এলো ২৪।
বাট আগুনটা ঐ ৪৭ এর ১৪ ই আগস্টেই জ্বলেছিল।
আমাদের প্রথম স্বাধীনতা দিবস আজ।
আমাদের প্রজা থেকে নাগরিক হওয়ার দিন আজ।
আজকের পর থেকে সব স্কুলে আমরা ভর্তি হতে পেরেছি, আজকের পর থেকে নিজেদের খাবার খাওয়ার জন্য কোন জমিদারের পারমিশন আমাদের নিতে হয় নাই।
৪৭ এর স্বাধীনতার প্রতিটা যোদ্ধাকে আমি সালাম জানাই।
সালাম জানাই, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক আর কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে।
আজকের দিনটা আমাদের কাস্মীর না হওয়ার দিন।
আজকের দিনটা আমাদের আজাদীর দিন।
দিল্লির গোলামী থেকে মুক্ত হওয়া মাশরেক আর মাগরেবের সমস্ত সন্তানকে জানাই এই অসহ্য সুন্দর আজাদীর শুভেচ্ছা!!
সাদিকুর রহমান খান
Source
শুধু মুসলমান হওয়ার "অপরাধে"।
বানিয়ে বানিয়ে বলছি না। কাছাকাছি ঘটনা পাবেন আবুল মনসুর আহমেদ এর "আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর" বইতে।
সেখানে আবুল মনসুর আহমদ এর বেয়াদবির জন্য উনার বাবাকে হিন্দু জমিদারের কাছে হাত জোড় করে মাফ চাইতে হয়েছিল।
৪৭ আপনাকে শুধু স্বাধীনতা দেয় নাই, ৪৭ আপনাকে দিয়েছে মানুষের মর্যাদা।
৪৭ আগ পর্যন্ত আপনি ছিলেন প্রজা।
আপনাকে জমিদারের কাছে যেয়ে তার দয়া ভিক্ষা করতে হত।
দশ হাত দূরে দাঁড়ানো লাগত।
এ দেশে মুসলমানরা লেখাপড়া করতে পারে নাই কেন জানেন?
বেশিরভাগ স্কুলে মুসলমানের বাচ্চাদের বসতে দেওয়া হত না।
অনেক স্কুলে ভর্তিই নিত না।
নাটোরের একটা এলাকায় গেলে দেখবেন মুসলমানের ছেলের নাম গোপাল।
কেন?
কারন ওখানে মুসলমানদের বাচ্চার নাম রাখার অধিকার পর্যন্ত ছিল না। মুসলমানের ছেলে হলে সেই ছেলে কোলে নিয়ে দূরে দাঁড়াতে হত।
হিন্দু জমিদার নিজের ইচ্ছামতো নাম দিয়ে দিতেন।
পাকিস্তান হওয়ার পর এই এলাকাতে কাজী নাজির নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট যান।
তিনিই প্রথম একজনের নাম রাখেন আব্দুর রহমান।
তিনিই প্রথম মুসলমানের ছেলেদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দেন।
তার আগ পর্যন্ত মুসলমানের ছেলে হলে স্কুলে জায়গা হত না। অশুচি হয়ে যায় তাই।
৪৭ আপনাকে আপনার নাম দিয়েছে।
৪৭ আপনাকে আপনার লেখাপড়ার সুযোগ দিয়েছে।
৪৭ এর ১৪ আগস্টের আগে আপনি ছিলেন একজন অশুচি প্রজা, ৪৭ এর ১৪ আগস্ট থেকে আপনি প্রজা থেকে নাগরিক হয়েছেন।
এই ইতিহাসগুলো কেউ আপনাকে বলবে না।
বাট আপনার জানতে হবে।
আপনার জানতে হবে, একটা পাকিস্তানের জন্য কেন আমাদের বাপ দাদারা ২০০ বছরের সংগ্রাম করলো?
আপনার দেখতে হবে আসাম, দেখতে হবে কাশ্মীর, দেখতে হবে গুজরাট।
তারপর আপনি বুঝবেন, স্বাধীনতা কত বড়।
আপনার দেখতে হবে আসামের সেই দলিতকে। গরুর মাংস বহনের অভিযোগে যাকে কিছুদিন আগে হত্যা করা হয়েছে।
জিন্নাহ আর শেরে বাংলারা শুধু আপনার নাম দেয় নাই, দিয়েছে আপনার খাওয়ার অধিকারও।
সেই তিতুমীর ,মজনু শাহ, হাজী শরীয়তুল্লাহ, দুদু মিয়া। তিতুমীর রক্ত দিলেন। সেই রক্তে লাল হয়ে গেল বুড়ি গঙ্গার পানি।
দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়া হলো।
কোনভাবেই পাকিস্তান হইতে দেওয়া যাবে না।
অত্যাচার জুলুম করে জমিদারি চালানোর এই মজা কে ছাড়তে চায়?
মুসলমানের ছেলের নাম গোপাল রাখার মজা কে ছাড়তে চায়?
তাই বারবার বুড়ি গঙ্গা আর পদ্মার পানি লাল হয়েছে আমার বাপ দাদাদের রক্তে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান আসলো।
আল্লামা ইকবাল পাকিস্তান নাম উচ্চারণ করে মারা গেলেন। বাট সেই মশাল নিয়ে সামনে চলে আসলেন নবাব সলিমুল্লাহ খান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, আর কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহরা।
জমিদারদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে আমরা পেলাম নতুন পতাকা, নতুন মানচিত্র।
প্রজা থেজে আমরা হয়ে উঠলাম নাগরিক।
আমরা কথা বলতে শিখলাম, অধিকার চাইতে শিখলাম।
শুরুটা ৪৭ এই।
এরপর এলো ৫২।
এলো ৭১।
এলো ২৪।
বাট আগুনটা ঐ ৪৭ এর ১৪ ই আগস্টেই জ্বলেছিল।
আমাদের প্রথম স্বাধীনতা দিবস আজ।
আমাদের প্রজা থেকে নাগরিক হওয়ার দিন আজ।
আজকের পর থেকে সব স্কুলে আমরা ভর্তি হতে পেরেছি, আজকের পর থেকে নিজেদের খাবার খাওয়ার জন্য কোন জমিদারের পারমিশন আমাদের নিতে হয় নাই।
৪৭ এর স্বাধীনতার প্রতিটা যোদ্ধাকে আমি সালাম জানাই।
সালাম জানাই, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক আর কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে।
আজকের দিনটা আমাদের কাস্মীর না হওয়ার দিন।
আজকের দিনটা আমাদের আজাদীর দিন।
দিল্লির গোলামী থেকে মুক্ত হওয়া মাশরেক আর মাগরেবের সমস্ত সন্তানকে জানাই এই অসহ্য সুন্দর আজাদীর শুভেচ্ছা!!
সাদিকুর রহমান খান
Source