অবশ্যই! আপনার অনুরোধ অনুযায়ী আগের পোস্টে উৎস এবং ট্যাগ যুক্ত করে নিচে আবার দেওয়া হলো।
শিরোনাম: শুধু রমজান মাসেই নয়, প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার ৭টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা
খেজুরের কথা মনে আসলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে রমজান মাসের ইফতারের দৃশ্য। এই মিষ্টি ও সুস্বাদু ফলটি হাজার হাজার বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান খাদ্য হিসেবে পরিচিত এবং আমাদের সংস্কৃতিতেও এটি এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। কিন্তু খেজুরের গুণাগুণ কি শুধু রমজানের জন্যই সীমাবদ্ধ? একদমই না।
খেজুরে ফ্যাট এবং প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকলেও এটি শর্করা (ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ), ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। এটি কোলেস্টেরল-মুক্ত এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এমনকি খেজুরের বীচিতেও রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, ফ্যাট এবং ফাইবার।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখলে কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
খেজুরের ৭টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. শক্তির চমৎকার উৎস ও পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরকে পুষ্টির powerhouse বলা হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি শুধু মিষ্টি ফলই নয়, এটি তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে শক্তি যোগাতে এক অসাধারণ খাবার।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিকস থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যাল নামক ক্ষতিকর অণু থেকে রক্ষা করে, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৩. হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। মাত্র তিনটি খেজুর আপনার দৈনিক আঁশের চাহিদার প্রায় ১৮% পূরণ করতে পারে। এই আঁশ হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং মল তৈরিতে সাহায্য করে মলত্যাগ নিয়মিত রাখে।
৪. হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে খেজুরে ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে। নিয়মিত খেজুর খেলে অস্টিওপোরোসিসের (হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার রোগ) মতো হাড়-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি কমে।
৫. কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে খেজুরে থাকা পটাসিয়াম স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও, এটি শরীরের LDL বা "খারাপ কোলেস্টেরল"-এর মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
৬. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে খেজুরে থাকা ভিটামিন 'সি' এবং 'ডি' ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং প্রদাহ কমায়। এছাড়া, খেজুরে থাকা আয়রন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
৭. রক্তস্বল্পতা দূর করে খেজুর আয়রনের একটি চমৎকার উৎস, যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুসারে, খেজুর খেলে শরীরে আয়রনের শোষণ বাড়ে, যা আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা (Anemia) প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।
শেষ কথা মিষ্টি স্বাদের কারণে খেজুরকে অনেকে মিষ্টান্ন হিসেবে মনে করলেও, এটি দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর যোগ করুন এবং আপনার খাবারকে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু করে তুলুন।
উৎস
উৎস